শ্রম
“রাশেদুল ইসলাম”

দুধের স্বাদ পানিতে নহে
বুঝিতে নাহি চাও,
ধার নেয়া সুখের তরে
বোহাস না আর নায়ো।

ধারের সুখ টিকেনা কভু
খনিকে পায় প্রাণ,
কিছুক্ষণেই নিস্প্রাণ তা
সুগন্ধি হলেও এর ঘ্রাণ।

ধারে কি আর দুঃখ ঘুচে ভাই
শ্রমের বৈঠা লও হাতে,
সব যাতনা হইবো দুর
মাঘ পূর্ণিমার রাতে।

পাখি যেমন ডাল ভাঙ্গনে নয়
ডানায় বিশ্বাস করে,
তোমরাও তেমন অন‍্যে নয়
শ্রমকে ধরো আকরে।

নিজ উপরে করিলে বিশ্বাস
সুফল আসে ধেয়ে,
পরাজয় নামের হিংস্রতাকে
জয় পঙ্খী নিবে খেয়ে।

পরের উপর ভরসা কেন
লড়াই করে বাচো,
আপন পায়ে দাঁড়ার লাগি
শ্রমের জন‍্য সাজো।

গাছে যেমন শিখর দ্বারা
জীবন রস খায়,
তোমরাও তেমন শ্রমকে নিলে
দুখ যাতনা যায়।

শ্রমে তোরা সাজবে যখন
উন্নতির পাবে দেখা,
কিছুক্ষণেই বদলে যাবে
তোমার ভাগ‍্য রেখা।

পরের সুখে হিংসা কেন
আপন সুখ লও,
তবেই তুমি আনন্দে রবে
বহিবে খুশির নায়ো।

ধনীর ধনে লোভ কেন রে
শ্রমেই তা পাবে,
ঐ শক্তিরে লাগালে কাজে
গরীবি হাল যাবে।

দেখেছি আমি বিশ্ব মাঠে
সফল অনেক জাতি,
ঊর্ধ্বে উঠিতে জালিয়েছে তারা
শ্রমের জলন্ত বাতি।

পরের সুখে তোমার কি
সুখকে কেনা শেখো,
শ্রমই তার প্রধান চাবি
জানিয়া তা রাখো।